বিপ্লব কুমার নন্দী ৪৩তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার জন্ম ১৯৯৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলায়। বাবা বিকাশ কুমার নন্দী, মা সুশুমা নন্দী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত।
সম্প্রতি জাগো নিউজের সঙ্গে তিনি বিসিএস জয়, ক্যারিয়ার পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন।
বিসিএসে ক্যাডার পাওয়ার অনুভূতি কেমন?
বিপ্লব কুমার নন্দী: ৪১তম বিসিএসে ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না আসায় ৪৩তম বিসিএস নিয়ে খুব একটা আশা ছিল না। সেজন্য রেজাল্ট পাওয়ার পর যে রেজাল্ট শিট থেকে রেজাল্ট দেখছিলাম; সেটায় কোনো সার্চ অপশন না থাকায় বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে রোলটা খুঁজছিলাম। সেখানে রোলটা না পেয়ে খুব হতাশ হয়েছিলাম। পরে আমার স্ত্রী রোলটা বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে খুঁজে পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। বিষয়টি আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। এটি আমার কাছে ছিল অন্যরকম এক অনুভূতি, যা লিখে প্রকাশ করা কঠিন।
পড়াশেনায় কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল কি?
বিপ্লব কুমার নন্দী: শুরু থেকেই প্রতিবন্ধকতা ছিল। তবে বাবা-মা ও শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সব সমস্যা কাটিয়ে উঠি।
বিসিএসের স্বপ্ন দেখেছিলেন কখন থেকে?
বিপ্লব কুমার নন্দী: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিসিএসের দীর্ঘ যাত্রা আমার কাছে অসম্ভব মনে হতো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় থেকে হলের দাদাদের পড়া দেখে নিজেকে অনুপ্রাণিত করেছিলাম যে, বিসিএস ক্যাডার হতেই হবে।
বিসিএস যাত্রার গল্প শুনতে চাই—
বিপ্লব কুমার নন্দী: ৪১তম বিসিএসে আবেদন করে বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি শুরু করার কিছুদিন পরই করোনা শুরু হয়ে যায়। আমি করোনার সময় বাড়িতে থেকেই বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত প্রস্তুতি নিতে থাকি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খোলার পর জগন্নাথ হলের রিডিং রুমে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে থাকি। করোনার সময়ে বাড়িতে থেকে নেওয়া বিসিএসের প্রস্তুতি আমাকে অনেকটা এগিয়ে রাখে।
কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কি?
বিপ্লব কুমার নন্দী: বিসিএস যাত্রায় আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা বাবা-মা। আর যে সার্বক্ষণিক সাহস জুগিয়েছে, দীর্ঘযাত্রায় আমার পাশে থেকেছে; সে আমার স্ত্রী। বিসিএসে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই—এ অনুপ্রেরণা পেয়েছি ডিএমপির সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা দাদার কাছ থেকে। বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি সহজ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকার বড় ভাই আশীষ বিশ্বাস দাদার সঙ্গে আলোচনা করার মাধ্যমে। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বিপ্লব কুমার নন্দী: বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া ও নীতি নির্ধারণী জায়গায় সুযোগ পেলে কাজ করার ইচ্ছা আছে। আমার পেশায় থেকে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ অনেক বেশি। আমি সুযোগটি কাজে লাগাতে চাই।