মাদক, বাল্যবিবাহ, বিভিন্ন ধরনের মামলা নিষ্পত্তি, নদী ও সড়ক পথে চোরাচালান রোধে পুরস্কৃিত অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক।
জানা যায়, গত ১৫/০৯/২০২৩খ্রি. সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানায় যোগদান করেন। যোগদান পরবর্তীতে নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করিতেছেন। থানায় আগত ভিকটিমের চাহিত সেবা অত্যান্ত আন্তরিকার সহিত করিয়া আসিতেছি,ধর্তব্য অপরাধের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ মামলা রুজু করিয়া ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সহ অপরাধীকে বিচারাত্রে বিজ্ঞ কোর্টে প্রেরন করে আসিতেছেন।
এ ছাড়াও বিশ্বম্ভরপুর থানায় যোগদানের পর হতে ০৫টি খুন মামলায় ০৯ জন আসামী গ্রেফতার সহ ০১জন আসামী ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি প্রদান করিয়াছেন, মাদকের ভয়াবর ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে ২০টি মাদক মামলায় ২৮ জনকে গ্রেফতার এবং ৭৩২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ০৫ কেজি ২০৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার সহ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চোরাচালান মাধ্যমে মালামাল নিয়ে অবৈধ কালো বাজার বন্ধে ২১টি চোরাচালান মামলায় ৩৩জন আসামী গ্রেফতার এবং ৩০১ বোতল ভারতীয় মদ, ২৬৭ বস্তা ভারতীয় চিনি, ০৪টি ভারতীয় গরু, জাল নোট, ৫০ বস্তা পেয়াজ উদ্ধার । চুরি, ডাকাতি, চিনতাই, দস্যুতা রোধ কল্পে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে ০৮ টি চুরি মামলার মোট ১২ জন গ্রেফতার, ১৩টি চোরাই গরু উদ্ধার। ০১টি নারী ও শিশু নির্যাতন (ধর্ষন) মামলায় ০২ আসামী গ্রেফতার সহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ০৩টি মামলায় ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। পেনাল কোড আইনের অপহরন মামলার ভিকটিম সাহসিকতার মাধ্যমে উদ্ধার করেন। গত ১৬/০৯/২০২৩খ্রি. হতে অদ্যবধি ৫১ টি জিআর তামিল (বডি), ৪৮ টি সিআর তামিল (বডি), ০৮ টি জিআর সাজা ও ০৩ টি সিআর সাজা তামিল (বডি) তামিল করে বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ এবং ১১জন নিখোঁজ ভিকটিম উদ্ধার করে তাদের পরিবারের লোকজনকে বুঝাইয়া দেন। গত জুলাই হতে সেপ্টেম্বর/২০২৩খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আনুপাতিক হারে অধিক সংখ্যাক মামলা নিষ্পত্তি ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখায় মাননীয় ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ মহোদয়ের নিকট হতে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বিশেষ পুরস্কার পান। ০৯/০৬/২০২৪খ্রি. সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে মাসিক কল্যান সভায় অধিক সংখ্যাক মামলা নিষ্পত্তি ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখায় মাননীয় পুলিশ সুপার এহ্সান শাহ, পিপিএম-সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নাতি প্রাপ্ত) সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পুরস্কিত করেছেন।
এ ছাড়াও থানা কম্পাউন্ডের ভিতর ভবনের সামনে অত্যন্ত যত্ন ও আন্তরিকতার সাথে শীতকালীন ফুলের বাগান তৈরী করা হয়েছে। এতে থানার সার্বিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ফুলের বাগান যথাযথ ভাবে পরিচর্যা করা হচ্ছে। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য ফুলবাগানের প্রতিটি সারির ইট এবং বাহিরের পাকা বর্ডার রং করানো হয়েছে।
অফিসার-ফোর্সদের ফিটনেস রক্ষার স্বার্থে থানার প্রত্যেক অফিসার-ফোর্স ফুটবল খেলায় অংশগ্রহনের জন্য থানা কম্পাউন্ডের পূর্ব দিকে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে ০১টি ফুটবল খেলার মাঠ তৈরী করা হয়েছে। থানার অফিসার-ফোর্স দিনে এবং রাতে যেন খেলায় অংশগ্রহন করতে পারে সেই লক্ষ্যে বিশ্বম্ভরপুর থানার পক্ষ থেকে ফুটবল টিম, কাবাডি টিম গঠন করে থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রীতি ম্যাচ খেলা এবং মাদক, বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সহ সকল ধরনের অপরাধ থেকে লোকজনকে দূরে সরে আসার আহব্বান করা।
থানার অফিসার-ফোর্সের কাজের উৎসাহ প্রদানের জন্য থানায় প্রতিমাসে এসআই, এএসআই, কনস্টেবল ০৩ ক্যাটাগরিতে ভালো ও আন্তরিক কাজের জন্য পুরুষ্কার প্রদান করা হয়।
থানার সকল অফিসার ফোর্সের রক্তের গ্রুফ সংগ্রহ করা এবং নিয়মিত ভাবে রক্তা দানে থানার অফিসার-ফোর্সকে উৎসাহ প্রদান। অফিসার ইনচার্জ জনাব শ্যামল বনিক নিয়মিত ভাবে রক্ত দান করে আসছেন। করোনা জয় করার পর প্লাজমা প্রদানেও অফিসার ইনচার্জ জনাব শ্যামল বনিক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
শ্যামল বনিক বিশ্বম্ভরপুর থানায় যোগদানের পর থানা বিল্ডিং সহ থানার কম্পাউন্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা হচ্ছে। পূর্বের যে কোন সময়ের থেকে বিশ্বম্ভরপুর থানা বিল্ডিং এবং থানা কম্পাউন্ড পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে অনেক এগিয়ে। বিশ্বম্ভরপুর থানার প্রতিটি বাজারের নাইট গার্ডদের মধ্যে লাইট, বাশি বিতরণ এবং বাজার কমিটি সহ ব্যবসায়ীদের উক্ত কাজে উৎসাহ প্রদান করেছেন।