শিরোনাম:
ফেক আইডি ফাঁসের জেরে অপপ্রচারের শিকার তরুণ উদ্যোক্তা জাদুকাটা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের দাবি ইজারাদারদের তাহিরপুরে পাওনা টাকার জেরে সংঘর্ষে আহত বৃদ্ধের মৃত্যু, ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুনামগঞ্জের নদীর পাড়ে ময়লার স্তুপ: ঝুঁকিতে জলজ জীবন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ‘বাঁধ ভাঙলে বিলীন হবে প্রজন্ম’ধোপাজানের ভাঙনে হাহাকার ১৫ গ্রামজুড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে যাদুকাটা নদীতে বাঁশের বেড়া স্থাপন, অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের দাবি ইজারাদারের সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী সাইবার দলের কমিটি ঘোষণা বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সুনামগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পান্ডারখাল বাঁধে ইট-বালুর স্তুপ: হারাচ্ছে পর্যটন সম্ভাবনা ও পরিবেশ সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার মামলায় নতুন মোড় পুনরায় তদন্তে নেমেছেপিবিআই

সুনামগঞ্জে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক লেকচার ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

রুহুল আমিনঃ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেলের ব্যবস্থাপনায় ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক লেকচার ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন ২০২৫) সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা সদরের নারায়ণতলা মুগাইপাড়া মিশনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।ওয়ার্কশপে স্বতন্ত্র জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের লালন, ধারণ এবং উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বক্তারা বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা এবং সংস্কৃতি দ্রুত বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। তাই এগুলোকে সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ ধরনের উদ্যোগ অপরিহার্য।

সুনামগঞ্জ জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে খাসিয়া, গারো, হাজং এবং মণিপুরী সম্প্রদায় উল্লেখযোগ্য। এরা প্রত্যেকে নিজস্ব ভাষা, পোশাক, ধর্ম, সংস্কৃতি এবং আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা বহন করে আসছেন। ওয়ার্কশপে বক্তারা জানান, তাদের এই বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য রক্ষা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ আরও জোরদার করতে হবে।

ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক এস এম শামীম আকতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাদার ওয়াল্টার রোজারিও এবং ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিন্টু দিও।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী। রিসোর্স পার্সন হিসেবে লেকচার প্রদান করেন পল সাংমা।

ওয়ার্কশপে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ১৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ঐতিহ্যবাহী খুতুব পরিয়ে ‘রাজা’ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়। এটি ছিল গারো সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ সম্মাননা প্রথা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক এস এম শামীম আকতার বলেন,”ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, নৃত্য, গান এবং জীবনধারা আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অন্যতম অংশ। এই বৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে শিল্পকলা একাডেমি নিয়মিতভাবে এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ ধরনের ওয়ার্কশপ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা চাই, তারা যেন তাদের শেকড়কে জানতে পারে এবং গর্বের সঙ্গে তা লালন করে।”

ওয়ার্কশপ শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ভাষা, গান, নৃত্য এবং ঐতিহ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানজুড়ে উপস্থিতদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের ছাপ লক্ষ্য করা যায়।