শিরোনাম:
বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সুনামগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পান্ডারখাল বাঁধে ইট-বালুর স্তুপ: হারাচ্ছে পর্যটন সম্ভাবনা ও পরিবেশ সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার মামলায় নতুন মোড় পুনরায় তদন্তে নেমেছেপিবিআই প্রশাসন কর্তৃক যাদুকাটা বালু মহাল ইজারাদারকে দখল দিতে দুষ্কৃতিকারীদের বাঁধা প্রদান সুনামগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা: ঢাকায় গ্রেফতার আসামী রতন মিয়া “আলোকিত সমাজ শিক্ষা ফাউন্ডেশন”-এর উদ্যোগে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সুনামগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৫ বোতল ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক এইচ এম পি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত সুনামগঞ্জে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক লেকচার ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত শতকোটি টাকার বালুমহাল: ইজারা নিয়ে সুনামগঞ্জে বিএনপির দুইপক্ষের দ্বন্দ্ব, ডিবি তুলে নিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রশাসন কর্তৃক যাদুকাটা বালু মহাল ইজারাদারকে দখল দিতে দুষ্কৃতিকারীদের বাঁধা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রশাসন কর্তৃক সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটা-১ বালু মহাল ইজারাদারকে দখল সমজিয়ে দিতে সাবেক ফ্যাসিবাদ ইজারাদারের দুষ্কৃতিকারীদের বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত (১ সেপ্টেম্বর) বুধবার যাদুকাটা-১ এর সীমানা বুঝিয়ে দেবার জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি মো. সাহারুখ আলম শান্তুনু
সরেজমিন এলাকায় আসেন। তিনি সীমানা বুঝিয়ে দেবার সময় সাবেক ইজারাদার ফ্যাসিবাদ রতন মিয়া তার সহযোগী দুষ্কৃতিকারী খোরশেদ আলমের লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পযার্য়ে বাধাঁ প্রদান করে। পরবর্তীতে তারা বুঝিয়ে দেওয়া সীমানা সঠিক নয় দাবী করেন এবং এভাবে বুঝিয়ে দিতে আপত্তি তুলে বলেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বালু নিতেও তারা বাঁধা দেবেন।

ইজারাদার পক্ষের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাবেক ইজারাদারের কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে নদীর মধ্যস্থান থেকে
বালু উত্তোলনের সময় বাঁধা দেন সাবেক ইজারাদার ও খোরশেদ আলমের লোকজন। পরে বাঁধার মুখে নদীর পাড় ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় বালু উত্তোলনকারী নৌকাগুলো।

স্থানীয় একজন ব্যবসায়ি জানান, যাদুকাটা-১ ও ২ বালুমহাল ইজারা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন যাদুকাটা-১ এর এলাকা ইজারাদারকে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় সাবেক ইজারাদার রতন মিয়া ও দুষ্কৃতিকারী খোরশেদ আলমের লোকজন বাঁধা প্রদান করে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। ঐ দুষ্কৃতিকারীরা উচ্চ আদালতে রিট করে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস যাদুকাটা নদী বন্ধ থাকায় তিনটি উপজেলার প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক নৌ-শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি খুবই কষ্টে জীবন যাপন করেছেন। অনেক
জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে উচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে চক্রটি বাঁধা প্রদান করছে।

যাদুকাটা তীরবর্তী শিমুল বাগানের সত্ত্বাধিকারী সাবেক তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,উচ্চ আদালতের নির্দেশে ইজারাকৃত যাদুকাটা বালু মহালে গরিব শ্রমিকরা যদি বালু না তোলে তাদের সংসার চলবে কিভাবে? সরকারকে রাজস্ব দিয়ে ইজারা এনে নদীর মাঝখান থেকে বালু তোলার সময় সাবেক ইজারাদার ও খোরশেদ আলমের কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী মানুষ বাঁধা দিয়েছে। প্রশাসন যে জায়গা চিহ্নিত করে দিয়েছে, সেখান থেকেই বালু তোলা হচ্ছে। কেউই পাড় কাটেনি। বিক্ষোভকারীরা দাবী করছেন লাউড়েরগড় শাহিদাবাদ এলাকায় পাড় কাটা হচ্ছে। কিন্তু আমার জানা মতে শাহিদাবাদ এলাকায় পাড় বলতে কোন স্থান নেই পরোটাই চর।

শ্রমিক সংঘটনের সাধারণ সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম সর্দার বলেন,স্থানীয় প্রশাসন যাদুকাটা-১ এর সীমানা নির্ধারণ করতে এসে বাঁধার সম্মুখীন হন। কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী লোকদের কারণে শ্রমিকরা নদীতে বালু উত্তোলনের কাজ করতে পারছে না। এতে ব্যবসায়ি এবং ইজারাদার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

অভিযুক্ত খোরশেদ আলম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি কোনোদিনই বালুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। জনস্বার্থ ও পরিবেশ রক্ষার জন্যই বালুমহাল যাতে পরিবেশ ধ্বংস না করে, সেজন্য আমি উচ্চ আদালতে সরকারকে বিবাদী করে মামলা করেছি। মামলাটি এখনো বিচারাধীন আছে, আগামী মাসের ২৬ তারিখে চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার কথা। আমি ঢাকায় থাকি, এখানে এসে বালুমহালে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমার কোনো স্বার্থও নেই। আমি বালু বা ইজারাদার—কোনো পক্ষের সঙ্গেই জড়িত নই। যদি জড়িত থাকতাম, তবে আমার লোকজন থাকত। সরকার কাকে ইজারা দিলেন বা কেন দিলেন, সেটা সরকারের বিষয়। আর সরেজমিনে কে বাধা দিয়েছে বা কেন দিয়েছে, সে সম্পর্কেও আমার কোনো ধারণা নেই।”

তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাহারুখ আলম শান্তুনু বলেন, বুধবার ওখানে সীমানা নির্ধারণের জন্য গেলে কিছু লোক আপত্তি এবং বাঁধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে ওখানে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় আমরা চলে আসি।