শিরোনাম:
বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সুনামগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পান্ডারখাল বাঁধে ইট-বালুর স্তুপ: হারাচ্ছে পর্যটন সম্ভাবনা ও পরিবেশ সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার মামলায় নতুন মোড় পুনরায় তদন্তে নেমেছেপিবিআই প্রশাসন কর্তৃক যাদুকাটা বালু মহাল ইজারাদারকে দখল দিতে দুষ্কৃতিকারীদের বাঁধা প্রদান সুনামগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা: ঢাকায় গ্রেফতার আসামী রতন মিয়া “আলোকিত সমাজ শিক্ষা ফাউন্ডেশন”-এর উদ্যোগে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সুনামগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৫ বোতল ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক এইচ এম পি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত সুনামগঞ্জে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক লেকচার ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত শতকোটি টাকার বালুমহাল: ইজারা নিয়ে সুনামগঞ্জে বিএনপির দুইপক্ষের দ্বন্দ্ব, ডিবি তুলে নিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার মামলায় নতুন মোড় পুনরায় তদন্তে নেমেছেপিবিআই

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি এলাকায় নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন কালের নিউজ-এর সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।

ঘটনার পর আসামী সেলিম নামে একজনকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।প্রথমে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ তদন্ত করে মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়। তবে মামলার বাদী সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু অভিযোগ করেন— থানা পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা ও ভুয়া তদন্ত করেছে এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে তিনি আদালতে না-নারাজি আবেদন করেন।

বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত নতুন করে মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে পিবিআই মামলাটির তদন্তে নেমেছে এবং নতুনভাবে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে।

হামলার ঘটনা গত ২০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্ত এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় হোসেন খা (৪৫), মুনায়েম খা (৩৪), ফুরকান খা (৪০), আলমগীর (৩৫) সেলিম (২৮) সহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলাকারীরা শুধু তাকে মারাত্মকভাবে জখমই করেনি, বরং তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং নগদ তিন লক্ষ টাকা, একটি প্যানাসনিক ক্যামেরা ও একটি ভিভো স্মার্টফোন লুট করে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সাংবাদিক বাবুর দাবি, তিনি অনলাইন কালের নিউজ-এ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন এবং তা নাগরিক টেলিভিশনে প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর জের ধরেই তার উপর পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়।

ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে একজন সাংবাদিককে এমন নৃশংসভাবে হামলার শিকার হতে হওয়া গণমাধ্যমের জন্য বড় হুমকি। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

প্রথম তদন্তে থানা পুলিশ যেভাবে চার্জশিট দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলার বাদীসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। তাদের অভিযোগ, আসল অভিযুক্তদের বাঁচাতে পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা নিয়েছে।
তবে নতুন করে পিবিআই তদন্ত শুরু করায় সাংবাদিক মহল আশা করছে, প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে এবং হামলার সাথে জড়িতরা শাস্তি পাবে।