শিরোনাম:
সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভুয়া পুলিশ আটক “বিচারের নামে অবিচার হয়, নারী কোথাও নিরাপদ নয়”শরী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ বিদবস-২০২৪ অনুষ্ঠিত তাহিরপুরের পাতারগাঁও অবৈধ বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে চাদাঁ নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন শাল্লায় জুলাই-আগস্টে শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা। আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি বিক্ষোভ মিছিল তাহিরপুরের লাউড়েরগড় সীমান্তে সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনি ও আনার আটক আমরা ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপে নিতে বা কঠোর হতে চাই না, আমাদের সন্তান,কারো ভাই,কারো বোন,,,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা “বিগত ১৫ বছরে ৬ শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছে”- কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলন রাষ্ট্র মেরামতে তারেক রহমানের ৩১ দফা-শাল্লায় শিক্ষার্থীদের সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়।  দোয়ারাবাজার সীমান্তে ৫২ বস্তা চোরাই চিনিসহ আটক ২

অটো-চাপায় স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু!এলাকায় শোকের মাতম!

শাল্লা প্রতিনিধি::-
সুনামগঞ্জ জেলা সদরের পিটিআই রোডের সামনে অটোরিকশার চাপা পড়ে রাজীব চৌধুরী নামের এক স্কুল শিক্ষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। ওই স্কুল শিক্ষকের বাড়ি জেলার শাল্লা উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে। জানা যায়,উপজেলার ভোলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি। সড়ক দূর্ঘটনায় ওই স্কুল শিক্ষকের আত্মীয়স্বজন ও পরিবার ছাড়াও পুরো উপজেলা জুড়ে নেমেছে এসেছে শোকের ছায়া। রাজীবকে হারিয়ে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনেরা যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

দূর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ৭ তারিখ রাত ১:৩০ পর্যন্ত তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটনে নিয়ে গেলে ৮ তারিখ রাত সাড়ে এগারোটায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। নিয়ামতপুরের নিজ বাড়ির পুকুর পাড়ে তাকে দাহ্য করা হয়েছে। রাজীব চৌধুরীর বন্ধুবান্ধবের সাথে কথা বলে জানা গেছে,অটোরিকশার চাপায় রক্ত মস্তিষ্কের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

রাজীব চৌধুরীর সহকর্মী শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সীমান্ত তালুকদার সুমন বলেন,রাজীবের মৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত। তিনি বলেন রাজীব চৌধুরীর স্মরনে আমরা রাজীব ই-প্লানেট মেধাবৃত্তি চালু করতে যাচ্ছি। রাজীব চৌধুরীকে আমরা তার কাজের মাধ্যমে সারাজীবন স্মরণ রাখতে চাই।

ওই দূর্ঘটনা8র সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গেছে ৬ নভেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় সুনামগঞ্জ পিটিআই রোডের সামনে রাস্তার পশ্চিম পাশ থেকে পূর্ব পাশে পারাপার হচ্ছিলেন তিনি। তন্মধ্যে স্ব-জোরে অতি গতির একটি অটোরিকশা রাজীব চৌধুরীকে চাপা দিয়ে রাস্তায় পিসে অনেক দূরে নিয়ে যায়। জানা গেছে, অটো চালকের বাড়ি সুনামগঞ্জের বড়পাড়ায়। সে নাসির মিয়ার ছেলে হুমায়ুন মিয়া। ফুটেছে দেখা গেছে রাজীব চৌধুরী রাস্তায় গাড়ি দেখে-শুনেই রাস্তা পার হচ্ছিলেন। কিন্তু অতি গতিতে একটি অটো এসে রাজীবকে চাপা দেয়। অন্য একটি ভিডিওতে অটো চালক হুমায়ুন মিয়াকে বলতে শোনা গেছে রাজীব চৌধুরী দৌড়ে এসে তার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজ ও অটো চালকের বক্তব্য পুরোপুরি বিপরীত। অটো চালক মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

রাজীব চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে অদক্ষ অটো চালককে দায়ী করে ও তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় উটেছে। ঝুমন দাশ আপন নামের এক ভদ্রলোক তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন”কমেন্টসে আমি দুইটা ভিডিও দিচ্ছি, একটা হত্যাকান্ডের,আরেকটি খুনির মিথ্যা অভিনয় মূলক স্বীকারোক্তি””খুনি হুমায়ুন কে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে”নয়তো আমরা বৃহত্তর শাল্লাবাসি সুনামগঞ্জে”রাজিব চৌধুরী হত্যার বিচারের দাবিতে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিব”।

প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার দাশ তার ফেসবুক আইডির একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন”রাজীবের এক্সিডেন্ট অতঃপর মৃত্যুর খবরটা আমাদের শাল্লার অন্য সবার মতো আমি ও বাকরুদ্ধ”রাজীব ছিল আমাদের শাল্লা শিক্ষা উন্নয়ন এসোসিয়েশনের নবীন সদস্য””নীরবে চোখের জল পেলা ছাড়া আর কি ই বা আমরা করতে পারি””তবে আজকে সীমান্তের ওয়ালে রাজীবের মৃত্যুর ভিডিও ফুটেজ টা দেখে আমার পরিস্কার মনে হয়েছে এটা এক্সিডেন্ট না মার্ডার””ঐ ঘাতক সিএনজি ড্রাইভার রাজীব কে দেখেও সজোরে ধাক্কা
দিয়েছে””তাই ঐ ঘাতক ড্রাইভারের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি””এই ঘাতক ড্রাইভারের গ্রেফতারের দাবিতে আসুন আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলি””

পিটিআইয়ের সুপারিন্টেন্ডেন্ট দীপংকর মোহান্ত বলেন রাজীবের মৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত। ঘাতক অদক্ষ অটো চালকের শাস্তির দাবি সহ পাঁচ দফা দাবি তুলে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ অটো চালক হুমায়ুন মিয়াকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আগামীকাল মানববন্ধন ডাক দিয়েছেন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার। তবে রাজীব চৌধুরীর পরিবারের সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় পরিবারের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।