তাহিরপুর প্রতিনিধি:
আগামী ২১ মে ২য় ধাপে ৬ষ্ঠ তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন যতই গনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ততই জমে উঠেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। প্রচারণার শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আনারমার্কায় তরুণ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আফতাব উদ্দিনের পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে পুরো তাহিরপুর উপজেলায়। তরুন ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে আফতাব উদ্দিন। পাড়া মহল্লার আলোচনায় তার বিকল্প কাউকে দেখছে না স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইতিমধ্যে তাহিরপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ও কর্মীসমর্থকরা। পাশাপাশি জনগনের ভালোবাসা ও সমর্থন দু’টো তেই বেশ সারা পাচ্ছেন। অপরদিকে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থীর ৪ জনেই হেভিওয়েট প্রার্থী। অন্যন্য প্রার্থীদের তুলনায় আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আফতাব উদ্দিন প্রচার ও আলোচনায় বেশ এগিয়ে আছেন। চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থীর মধ্যে আফতাব উদ্দিন রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
মাদক মুক্ত, সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ মুক্ত একটি আধুনিক উপজেলা গড়তে সর্বস্তরের জনগণের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আফতাব উদ্দিন ।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রচার প্রচারণা ও নির্বাচনী গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান(কাপ-পিরচ), বাদাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন(আনারস), তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন(দোয়াত-কলম), বড়দল উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম(মোটরসাইকেল) ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মিঠু রঞ্জন পাল( হেলিকপ্টার) মার্কায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আফতাব উদ্দিন বলেন, আমি যদি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচত হতে পারি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও আমি আমার বাবার মতো সাধারণ মানুষের সেবক হয়ে উপজেলাকে মডেল ও স্বপ্নের তাহিরপুর হিসেবে গড়ে তুলতে অঙ্গিকারবদ্ধ। তাহিরপুর উপজেলা বাসীর পূর্ণ সমর্থনে আমি এগিয়ে যাচ্ছি। দলবল নির্বিশেষে সবাই আমাকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন। আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এখন থেকে আমার নেয়ার কিছুই নাই। আল্লাহ আমাকে ও আমার পরিবারকে যথেষ্ট ধনসম্পদ দিয়েছেন। আপনার খবর নিয়ে দেখেন। আমার চাচা মরহুম আলহাজ্ব আলা উদ্দিন বাদাঘাট ইউনিয়নের দুই বারের চেয়ারম্যান ছিলেন, আমার বাবা আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন তিন বারের চেয়ারম্যান ছিলেন, আমার বড় ভাই ১ বারের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং আমি নিজেও এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার বড় বোন সেলিনা আবেদীন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত সদস্য। আমার পরিবার সারাজীবন মানুষকে দিয়েই আসছে। মানুষকে দেয়ার শিক্ষাটা আমি আমার পরিবার থেকেই পেয়েছি। আমার বাবা আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনের কথা আমি কি বলবো, আমার বাবার দানের কথা তাহিরপুর উপজেলা নয়! সুনামগঞ্জ জেলা তথা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে। উনি এ অঞ্চলের স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট ও মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের কতটুকু অবদান রেখে গেছেন। তা আপনারাই জানেন। আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করলে বাবার মতো সবক্ষেত্রেই অবদান রাখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিতে না, কাজে বিশ্বাসী। আমি নির্বাচিত হলে উপজেলাটি হবে মাদক মুক্ত, সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ মুক্ত। আমার কাছে এগুলোর কোন স্থান নেই। আমি একটি মডেল উপজেলা গড়তে চাই মানুষের জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে ও জনগণের কল্যানে নিজেকে জনগণের কাছে সমর্পণ করতে চাই। এছাড়া শিক্ষার ক্ষেত্রে মান উন্নিত করন, ইভটিজিং মুক্ত সমাজ গঠন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, গরীব দুঃস্থদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত একটি আধুনিক স্মার্ট উপজেলা রুপান্তরিত করতে সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করছি। আগামী ২১ মে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হবে এবং দলমত নির্বিশেষে তাহিরপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে সেই ভূমিকা রাখবেন বলে আমি আশাবাদী।